ভ্রমণ ডায়েরী

Home News Contact About

স্বপ্নের লাদাখ ভ্রমণ - প্রথম পর্ব

"বেহতি হাওয়াসা থা ওঃ, উড়তি পাতাঙ সা থা ওঃ" আমির খানের বিখ্যাত থ্রি ইডিয়টস মুভির গানের অংশ।

থ্রি ইডিয়টস মুভি দেখার পর থেকেই লাদাখ যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা ছিল। ২০১৯ সালের রোজার ঈদে সেই স্বপ্ন ৬০% পূরণ হল। ১০০% কেন পূরণ হলো না সেই কথায় পরে আসছি।

Lanavola

স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশে বিমান টিকেট করে ফেলেছিলাম ২০১৯ এর জানুয়ারিতেই। সময় যতই কাছে আসছিল ততই মনে ভয় হচ্ছিল যে, মানালি থেকে লেহ যাওয়ার রাস্তা ঠিক মত খুলবে তো এই বছর!!! এই বছর স্নো ফল বেশি হওয়াতে রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে। পরিকল্পনামত রোজার ঈদের আগেই ০৩ জুন ঢাকা থেকে রওনা হই আমি, সুজন ভাই আর আমার বিল্লাল মামা।

Lanavola

ঈদের আগে হওয়াতে বাসের টিকিটের দাম অনেক বেশি হলেও এসি বাসের এমন অবস্থা আশা করি নাই। আমরা যে সিটে বসেছিলাম সেই সিটের পাশ থেকে গরম হাওয়া এসে মামা আর আমার শরীর পুড়িয়ে দেওয়ার মত অবস্থা। আমাদের সামনের সিটে বসা ভদ্রলোকের অবস্থা তো আরো খারাপ। সবচেয়ে বাজে অবস্থা হয়েছিল যশোরের আগে গিয়ে বাসের এসি নষ্ট হয়ে যাওয়া। যেহেতু জানালা খোলার কোন উপায় ছিল না তাই শেষের ২০ মিনিটের মত গরমে আরো বেশি সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো উপক্রম হয়েছিল।

Lanavola

আমাদের বাস ছিল যশোর পর্যন্ত তাই যশোর নিউমার্কেট এরিয়াতে নেমে একটা অটো নিয়ে যশোর বাস টার্মিনাল চলে যাই। সেখান থেকে লোকাল বাসে করে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বেনাপোল গিয়ে পৌছাই।সেখানে আগে থেকে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল খুলনা থেকে আসা সোহাগ ভাই আর প্রীতি আপু, তারা হাসবেন্ড ওয়াইফ। বিকেলবেলা হওয়াতে কোন রকম ভীড় আর ঝামেলা ছাড়াই ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করে ভারতে প্রবেশ করি। সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আমার পরিচিত কাদের ভাই যে কিনা ভারতে চিকিৎসার জন্য এসেছেন প্রথমবার।

Lanavola

আজ রাতটা সে আমাদের সাথেই থাকবেন কাল যাবেন ভেলোরের সিএমসি হসপিটালে। বাংলাদেশী টাকা থেকে রুপিতে পরিবর্তন করে পাশের মসজিদে ইফতার করে নামাজ শেষে খাওয়া-দাওয়া করে নিই। ইমিগ্রেশন বন্ধ হয়ে গেছে অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়াতে আশেপাশের সব দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, বনগাঁ রেলওয়ে স্টেশন যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র একটা অটোই ছিল। অটোতে করে পরিচিত যশোর রোড হয়ে বনগাঁ স্টেশনে পৌছাই।

চলবে.........

২য় পর্বের লিংক এখানে