ভ্রমণ ডায়েরী

Home News Contact About

স্বপ্নের লাদাখ ভ্রমণ - দ্বিতীয় পর্ব

দমদম পর্যন্ত সবার টিকিট কেটে নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে চলে যাই। বনগাঁ লোকালে যাওয়ার একটা অন্যতম সুবিধা হচ্ছে, বনগাঁ থেকে যেহেতু ট্রেনটা ছাড়ে সেজন্য সিট পেতে তেমন অসুবিধা হয় না। যেহেতু অফিস টাইম শেষ তাই দিনের বেলা যেরকম ভিড় হয় তেমন ভিড় হবে না আশা করা যায়। এই ট্রেনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে কম টাকায়, কম সময়ে কলকাতা পৌঁছানো যায়।

Lanavola

আমরা যেহেতু আগামীকাল দিল্লির ফ্লাইট ধরবো তাই নিউমার্কেট দিকে না গিয়ে এয়ারপোর্টের আশে পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম। তার জন্য আমরা দুর্গানগর রেলওয়ে স্টেশনে নেমে যাই। স্টেশনের বাইরে একটা হোটেল থেকে রাতের ডিনার সেরে নিলাম চিকেন বিরিয়ানি দিয়ে, আসলে বিরিয়ানি খুব প্রিয় কিনা তাই রোজার দিন হওয়া সত্ত্বেও লোভ সামলাতে পারি নাই। তাছাড়া সামনে যেহেতু হালাল খাবার পেয়েছি আর কতদিন পর আবার ননভেজের স্বাদ পাবো তাই গরম গরম বিরিয়ানি ঘপাঘপ গিলে নিলুম।

Lanavola

এরপর অটো নিয়ে এয়ারপোর্টের এক নাম্বার গেটে চলে যাই। কিন্তু বাজেট অনুযায়ী হোটেল না পাওয়াতে হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই এয়ারপোর্টের দুই নাম্বার গেটে, সেখান থেকে এয়ারপোর্টও কাছে হবে। কয়েকটা হোটেল দেখে আমাদের বাজেট অনুযায়ী তিনটা এসি রুম নিয়ে নিলাম ৩৬০০ রুপি দিয়ে। সবাই যার যার মত ফ্রেশ হয়ে বাইরে হাঁটতে বের হই। আগামীকাল যেহেতু রোজা রাখব তাই সেহরির জন্য ভেজ ফ্রাইড রাইস ছাড়া আর তেমন ভাল কিছু পেলাম না। সামনের জার্নি গুলোতে কাজে লাগবে এমন কিছু বিস্কিট, কেক আর খাবার পানি নিয়ে হোটেলে ফিরি।

Lanavola

সারাদিন জার্নির ধকল আর সাথে রোজা ছিলাম তাই এশার নামাজ পড়ে রাতে বেশি না জেগে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। কাল থেকে লম্বা জার্নি শুরু হতে যাচ্ছে, শরীরটাকে তৈরি রাখতে হবে। মোবাইলের এলার্মের শব্দে ঘুম থেকে উঠে সেহেরী খেয়ে ফজরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। যেহেতু আমাদের ফ্লাইট বিকেল ৪ টা ২০ এ তাই ঘুম থেকে ওঠার ব্যাপারে কোন তাড়াহুড়া করিনি।

চলবে.........

৩য় পর্বের লিংক এখানে