আগ্রা ভ্রমন ডায়রি
আগের দিন বিকাল ৪টায় মানালি থেকে বাসে চড়ে সকাল ৮ টায় দিল্লী পৌছালাম টানা ১৬ ঘন্টা জার্নি করে। তারপর দিল্লীর নিজামউদ্দিন রেলস্টেশন থেকে আগ্রার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠলাম সকাল ৯ টায়। দুপুর ১২ টা নাগাদ আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে নামলাম। স্টেশনের লকারে (Cloak Room) ১৫ রুপির বিনিময়ে সব ব্যাগপত্র রেখে শুধু ক্যামেরা ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম অটোরিক্সা খুজতে।
অটোরিক্সার সব সরকারি রেট- ৫০০ রুপিতে তাজমহল ও আগ্রাফোর্ট ঘুরিয়ে দেখিয়ে আবার স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে যাবে। সোজা চলে গেলাম পৃথিবীর সপ্তাশ্চার্যের একটি আগ্রার বিখ্যাত তাজমহল দেখতে। ভারতীয়দের জন্য ৫০ রুপি আর সার্কভুক্ত দেশের জন্য ৭৫০ রুপি। আমরা ৭৫০ রুপির টিকিট কাটলাম, সাথে ৫০০ মিলি পানি ও জুতার কভার দিল কাউন্টার থেকে। ভারতীয়দের লাইন অনেক লম্বা ছিল ৩-৪ ঘন্টা লাগত ভিতরে যাইতে। আমরা বিদেশীদের জন্য তৈরি আলাদা লাইন ধরে পশ্চিম গেট দিয়ে ভিতরে গেলাম। তারপর একে একে তাজমহল,মমতাজের সমাধি, মসজিদ ও বাগান ঘুরে দেখলাম। এক বেলায় এগুলো ভাল করে দেখা যায় না। আগ্রায় থাকার কোন পরিকল্পনা না থাকায় তারাতারি করে সব দেখে নিলাম, সাথে কিছু ছবি তুললাম।
তাজমহল থেকে বেরিয়ে অটোরিক্সাওয়ালা কে ফোন করলাম সে আমাদের দুপুরের খাওয়ার জন্য একটা অভিজাত খাবার হোটেলে নিয়ে গেল। আমরা ৩ জন বিরিয়ানি অর্ডার করলাম। খাবার খেতে খেতে দেখি আমার নতুন চাকরীর জয়েনিং-পোস্টিং দিয়ে দিছে অনলাইনে। খাওয়া শেষ করে আগ্রা ফোর্ট দেখতে গেলাম। তাজমহলের টিকিট থাকাতে ৩০ রুপিতে টিকিট পেলাম। তা না হইলে ৫৩০ রুপি লাগতো। অনেক বড় দূর্গ। এখান থেকে তাজমহল দেখা যায়। এখানেই সম্ভবত শাহজাহান কে শেষ বয়সে আটকে রেখেছিল তার ছেলে।
দূর্গ দেখা শেষ করে আগ্রার বিখ্যাত পিঠা-শপ ( মিস্টির দোকান) ঘুরে মিষ্টি কিনে খেলাম। তারপর আবার স্টেশনে ফিরলাম। এসে শুনি আমাদের ট্রেন তাজ এক্সপ্রেস লেটে চলছে। ৬ টার ট্রেন রাত ৯ টায় রওনা দিল। রাত ১২ টায় নিউ দিল্লী স্টেশনে নামলাম। রাতে ৬০০ রুপির বিনিময়ে স্টেশনের এসি রিটায়ারিং রুমে ডাবল বেডে ৩ জন ঘুম দিলাম। পরদিন দিল্লী ঘুরে রাজধানী এক্সপ্রেসে কলকাতা ফেরার প্ল্যান।